জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ সৃষ্টির সুযোগ কাউকে দেওয়া হবে না: কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে শেখ হাসিনা
৫ ফেব্রুয়ারী ২০১২, ২৩ মাঘ ১৪১৮
শনিবার গণভবনে আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ সৃষ্টির সুযোগ কাউকে দেওয়া হবে না। যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার ষড়যন্ত্র যে কোনো মূল্যে রুখে দেওয়া হবে। তাদের প্রতিহত করা হবে। তিনি স্বাধীনতাবিরোধী ও তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী আরও বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিলে আপত্তি নেই। কিন্তু অশান্তি সৃষ্টির ষড়যন্ত্র হলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনোভাবেই বিশৃঙ্খলা সহ্য করা হবে না। যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার ষড়যন্ত্র মেনে নেওয়া হবে না। এ দেশে অরাজকতার কোনো জায়গা নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ বৈঠকে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু এমপিকে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত আতাউর রহমান খান কায়সারের স্থলাভিষিক্ত হলেন। বৈঠকে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের 'শিখা চিরন্তন'-এর সামনে থেকে ধানমণ্ডির বঙ্গবন্ধু ভবন পর্যন্ত র্যালি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বৈঠকে ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস এবং ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে দলীয় কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ বৈঠকে ফেব্রুয়ারি ও মার্চজুড়ে ঢাকাসহ দেশের সব জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সভা-সমাবেশের কর্মসূচি নেওয়া হয়। এ সময় ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপির কারচুপির নির্বাচন দিবস এবং ৩০ মার্চ স্বৈরাচার বিএনপির পতন দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়। সহযোগী সংগঠনগুলোর ব্যানারে এ দুটি দিবসে নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হবে। কর্মসূচি চূড়ান্ত করতে আগামী সপ্তাহে দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সহযোগী সংগঠনগুলোর সঙ্গে সমন্বয় বৈঠক করবেন। বৈঠকের শুরুতে সম্প্রতি প্রয়াত দলের বর্ষীয়ান জননেতা আবদুর রাজ্জাক, জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরী এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা গায়ত্রী দেবীসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। ১২ মার্চ বিএনপির 'চলো চলো ঢাকা চলো' কর্মসূচির দিনে মাঠ দখলে রাখার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বাংলা ভাষার দাবিতে ফেব্রুয়ারিতে রক্ত ঝরেছে। মার্চ মুক্তিযুদ্ধের মাস। এ দুই মাস মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির ধারাবাহিক রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকবে। সভা-সমাবেশসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত করবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি।

আমাদের যে অর্জন হয়েছে তা ধরে রাখতে হবে : সৈয়দ আশরাফ

বৈঠকের শুরুতে দলের সাধারণ সম্পাদক এলজিআরডিমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আর যাতে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসতে না পারেন_ সে জন্য সতর্ক থাকতে নেতাকর্মীসহ দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এলে এদেশ আবারও সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, আত্মঘাতী বোমা হামলা ও তালেবানের দেশে পরিণত হবে। তাই বাংলাদেশ যাতে আর কোনো দিনই 'খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ' হতে না পারে_ সে জন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। দুর্নীতির জাতি হিসেবে আমরা আর পৃথিবীতে পরিচিত হতে চাই না। সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দলের নেতাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘আমাদের যে অর্জন হয়েছে তা ধরে রাখতে হবে। এজন্য আরো সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে।’ তিনি বলেন, শেয়ারবাজার পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের কিছু করার নেই। এর নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসি। অনেক সময় গুজব ও আস্থার সংকটে শেয়ারবাজারের দর ওঠানামা করতে পারে। এ দরের ওঠানামাও একটি স্বাভাবিক বিষয়। সব সময় যদি দর বাড়তেই থাকবে_ তাহলে সব বিনিয়োগ এখানেই হতো। সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরই শেয়ারবাজারের ভালো-মন্দ বোঝা যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সরকারের অর্জনকে দেশ ও জনগণের অর্জন হিসেবে উল্লেখ করে এটি জনগণের মাঝে তুলে ধরতেও নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান সৈয়দ আশরাফ।

সংসদে 'অ্যাক্সিডেন্ট ইজ অ্যাক্সিডেন্ট'_ নিজের এমন বক্তব্য মিডিয়ায় ভুলভাবে উদৃব্দত হয়েছে এমন দাবি করে সৈয়দ আশরাফ বলেন, কেবল প্রথম আলোয় তার বক্তব্য সঠিকভাবে এসেছে। তিনি সংসদে বলেছিলেন, দুর্ঘটনাকে দুর্ঘটনা হিসেবে ধরা হলে সেটা দুর্ঘটনায়ই হয়ে যায়। তবে সব দুর্ঘটনাই দুর্ঘটনা নয়। কোনো চালক যদি ইচ্ছাকৃতভাবে কারও ওপর গাড়ি তুলে দেয়, লাইসেন্স ছাড়া কিংবা মাদকাসক্ত অবস্থায় কিংবা উচ্চগতিতে গাড়ি চালিয়ে দুর্ঘটনা ঘটায়, সেটা দুর্ঘটনা হতে পারে না। সেটা অপরাধ।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসী, জঙ্গি ও আত্মঘাতী বোমা-গ্রেনেড হামলার উল্লেখ করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার কুকীর্তি, দুই ছেলেকে রক্ষার অপচেষ্টা এবং বিডিআর হত্যাসহ তার স্বৈরশাসন ও অত্যাচার-নির্যাতনের কথা দেশের মানুষকে স্মরণ করিয়ে দিতে হবে। কেননা মানুষ দ্রুত অতীত ভুলে যায়।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সময় দেশে কোনো বিচারালয় কিংবা কোথাও আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়নি। খালেদা জিয়ার কোনো সভা-সমাবেশে গ্রেনেড হামলাও চালানো হয়নি। এটাই সরকারের বড় সাফল্য। আমরা ক্ষমতায় আসায় দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার সুযোগ হয়েছে। বাংলাদেশ এখন আর তালেবান কিংবা আল কায়েদার দেশ নয়।
লন্ডনে সাম্প্রতিক সময়ে নির্বাচিত মেয়রকে হত্যার উদ্দেশে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা বানচাল হওয়ার উল্লেখ করে তিনি বলেন, সে পরিস্থিতি দেশে নেই বলেই এখন আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার ওপর হামলার পরিকল্পনা হলে সেটা দেশে হবে না, লন্ডনে হবে।

জাতীয় ইস্যুতে সংলাপের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি বলেন, সংলাপ করতে মিডিয়া গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। বাংলাদেশ আবারও যাতে পৃথিবীতে সন্ত্রাসী দেশ হিসেবে পরিচিত না হতে পারে_ সে ক্ষেত্রেও মিডিয়াকে এগিয়ে আসতে হবে। গণতন্ত্রে দুটি সহযোগী রয়েছে_ মিডিয়া ও জনগণ। এ প্রসঙ্গে কোনো সংবাদপত্রের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, কয়েক দিন আগে একটি পত্রিকায় জরিপ প্রকাশ হলো। এ জরিপ কারা করেছে, কীভাবে করেছে ও কাদের ওপর করা হয়েছে_ তার কোনো উল্লেখ ছিল না। এখন আমি যদি ঘরে বসে কোনো জরিপ করি তার মনগড়া ফলও আসবে_ যেটি আমি চাই।

সভায় ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ, ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন এবং ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ৭ মার্চ গণর‌্যালি আয়োজন করার সিদ্ধান্ত হয়। সোহরাওয়ার্দি উদ্যান থেকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর পর্যন্ত এ র‌্যালি অনুষ্ঠিত হবে।

Major Syed Md. Ziaul Haque is just a carrier of the whole plan and Mastermind is some other big fishes!! Jamate+BNP jote have clearly understood that Awami League and Sheikh Hasina can not be defeated through Ballot and already people have seen the untiring effort of Sheikh Hasina to resolve the peoples' problem; [1] Tremendous improvement in Pwer sector [2] Booming exports [3] Record internal revenue generation through tax, VAT [4] All time surplus of Foreign remittances [5] Over all improvement in Law & Order situations - no Mastani, no extortion like Kala Zahangir gang under Tareq's command [6] Pure sanctity in the religious activities, cultural activities [7] Peace & tranquil Hill Tracts [8] Major developments like [a] Dhaka-Chittagong 4 lane road [b] Fly-overs in Dhaka [c] Heerajheel projects for Capital environment [d] Metro-rail projects for Capital [e] Funding for Padman Bridge from friends instead suckers [f] Massive improvement in transport system by adding new buses [g]Tremendous improvement in Chittagong port [g] Thrust in export of Ship from Bangladesh [h] Bumper production in Rice, Jute, Tea & other agro-products [8] Acquiring ground to Air-defence missile sytem - National security [9] Bold actions against Younus - the biggest Shudkhor of the world - Christian charity to destroy Islam [10] Excellent relations with neighbors & international allies [11] Trial of War Criminals & all killers [12] Development of socio-cultural & sports activities in the country, even Messi was in Bangladesh [13] Development of Tourism - new infra-structures in Cox'x Bazar, Kuakata, Shundarban, Syshet [14] Largest participation in UN peace keeping, honour for Bangladesh Armed Forces [15] Great blessing of Almighty towards Bangladesh because a true Musalman Deshratna Sheikh Hasina, most pious lady in Chair. These are including many other noticeable issues of good achievements have made the enemies of Bangladesh very perturbed and Pakistani ISI, the guardian of Jamate+BNP jote has the very clear message! They are all in conclusion that Awami League should be out of power or the enemies of Bangladesh will be finished from the political scenario, they will be simply vanished and there will be time when people will spit on the name of Go Azam, Khaleda, Nizami, Tarek - Koko, Delwar Sayeedi!! Govt. will have to carry out more investigation to unmask the real Criminals and all anti-Bangladesh Forces behind such barbaric act for which we had to loose our beloved Father of the Nation, Four national Leaders, many patriotic members of Armed Forces.

Shahidul Alam 

 

হত্যার তালিকায় ছিলেন যাঁরা -ফেসবুকে মেজর জিয়ার অপারেশন অর্ডার

by Mofazzal Hussain Rony on Monday, January 23, 2012 at 12:35am
 

হত্যার তালিকায় ছিলেন যাঁরাফেসবুকে মেজর জিয়ার অপারেশন অর্ডার

পলাতক মেজর জিয়া রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন সেনাকর্মকর্তাকে হত্যার লক্ষ্যে অপারেশন অর্ডার জারি করেছিলেন। এই অপারেশন অর্ডারটি তিনি প্রচার করেন নিজের ফেসবুক অ্যাড্রেস থেকে। ফেসবুক অ্যাড্রেসের বন্ধু তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের কাছে তিনি ওই অপারেশন অর্ডার পেঁৗছে দেওয়ার চেষ্টা করেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়,মেজর জিয়ার অপারেশন অর্ডারে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস), প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও), ডিজিএফআই ও এসএসএফের মহাপরিচালক, লগ এরিয়া কমান্ডারসহ ১০ জন সেনাকর্মকর্তাকে হত্যার কথা বলা হয়।

অপারেশন অর্ডারে এমনও বলা হয়, যদি আমরা পুরোপুরি সফল না হই, তাহলে এদের কয়েকজনকে (সেনাকর্মকর্তাদের) অবশ্যই হত্যা করতে হবে।

গত ১ জানুয়ারি মেজর জিয়া ইন্টারনেটে 'গরফ-ষবাবষ ঙভভরপবৎং ড়ভ ইধহমষধফবংয অৎসু ধৎব নৎরহমরহম উড়হি পযধহমবং ংড়ড়হ' এবং 'বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে নতুন বছরের উপহার-মধ্যম সারির অফিসাররা অচিরেই বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছেন' শিরোনামে নিজেদের অভ্যুত্থান পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার জন্য সরকার ও বর্তমান সেনা নেতৃত্ব সম্পর্কে যে অপপ্রচার চালান তাতেও পাঁচজন ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করেন।

সূত্র জানায়, পলাতক মেজর জিয়া যেসব সেনা কর্মকর্তাকে হত্যার জন্য অপারেশন অর্ডার জারি করেছিলেন, তাঁরা সবাই নিজেদের দীর্ঘ পেশাগত জীবনে মেধা, সততা, দক্ষতাসহ নেতৃত্বের অন্য গুণাবলির জন্য প্রশংসিত।

এদিকে একটি গোয়েন্দা সংস্থার আশঙ্কা, পলাতক মেজর জিয়াকে দ্রুত গ্রেপ্তার না করা গেলে তিনি সেনা অভ্যুত্থানের মতো বড় ধরনের না হলেও বিচ্ছিন্নভাবে নাশকতামূলক ঘটনা ঘটাতে তৎপর হয়ে উঠতে পারেন।

সরকার ও সেনাবাহিনী সম্পর্কে মেজর জিয়ার মিথ্যাচারের নমুনা হিসেবে সূত্র জানায়, তিনি 'ডাইরেক্টর জেনারেল ফোর্স ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই) অ্যাবডাক্ট মি' শিরোনামে এক ই-মেইল বিবৃতিতে যে অভিযোগ করেছেন তাতে বলা হয়েছে, তাঁকে সাভার বাসস্ট্যান্ড থেকে অপহরণ করে অজ্ঞাত একটি স্থানে রাখা হয়। সেখানে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা 'র'-এর কয়েকজন সদস্য তাঁকে দোভাষীর মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিন্তু মেজর পদবির একজন সেনা কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ইংরেজি ভাষায় দক্ষ গোয়েন্দা 'র'-এর সদস্য নেই এমন তথ্য হাস্যকর বলেই মনে করে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

এ বিষয়ে গত ১৯ জানুয়ারি সেনা সদর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পিএস (পার্সোনাল সার্ভিস) পরিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাসুদ রাজ্জাক বলেন, 'সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গত ৯ ও ১০ জানুয়ারি পলাতক মেজর জিয়া তাঁর কল্পিত দুটি অপারেশন আদেশ-নির্দেশের কপি ই-মেইলের মাধ্যমে চাকরিরত বিভিন্ন অফিসারের কাছে পাঠায়। এ ছাড়া ১০ জানুয়ারি মেজর জিয়া বিভিন্ন ফরমেশন ও প্রতিষ্ঠানে কর্মরত-অধ্যয়নরত সমমনা বা তাঁদের দলভুক্ত কয়েকজন অফিসারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে তাঁদের পরিকল্পনা অনুযায়ী তথাকথিত সেনা অভ্যুত্থান-সংক্রান্ত প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চান এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য বারবার উদ্বুদ্ধ করতে থাকেন।' 

এ বিষয়ে সূত্র জানায়, মেজর জিয়া টেলিফোনে সেদিন এই মর্মে আহ্বান জানান যে, আমাদের সঙ্গে অনেকেই আছেন, তাঁরা অপারেশন শুরু করতে যাচ্ছেন। সবাই প্রস্তুত এবং বের হয়ে আসছেন। আপনারাও শুরু করেন। বেলা ২টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এ আহ্বান জানানো হয়।

সূত্র জানায়, যে ১৪ থেকে ১৬ জন সেনা কর্মকর্তাকে সেদিন মেজর জিয়া অপারেশন শুরু করতে আহ্বান জানিয়েছিলেন, তার জবাবে ওই সব কর্মকর্তার বক্তব্য কী ছিল তা এ বিষয়ে গঠিত তদন্ত আদালত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে। সার্বিক পরিস্থিতিতে সচেতন থাকার জন্য অভ্যুত্থান পরিকল্পনাকারীদের এসব টেলিফোন আলাপন ঢাকা সেনানিবাসের সব সেনাকর্তাকে শোনানোরও ব্যবস্থা করা হয় বলে সূত্র জানায়।

অভ্যুত্থান পরিকল্পনার সঙ্গে কম-বেশি সম্পৃক্ত সবাইকেই যে চাকরি হারাতে হবে_এটা নিশ্চিত। এ ছাড়া চলমান তদন্ত আদালতের প্রতিবেদন পাওয়ার পর সম্পৃক্ততার গভীরতা অনুযায়ী একটি ফিল্ড জেনারেল কোর্ট মার্শালে তাঁদের বিচার সম্পন্ন করা হবে।

তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তরা কী ধরনের শাস্তি পাবেন_এ প্রশ্নে গত ১৯ জানুয়ারি সেনা সদরের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সেনা আইনের ৩১ ধারায় এ অপরাধে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রয়েছে। তবে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার গভীরতার ভিত্তিতে শাস্তি নির্ধারিত হবে। আগামী এক মাসের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন হবে বলে সূত্র জানায়।

 

 ·  · Share
  •  
  • 1 share
    • Misbahur Rahman ‎-----it may be another conspiracy making by those who are involved in DALAL for making truth the dream of Jmat , BNP , Jonggi & their foreign agents ----------------------:-( bt the Bangali never give the chance ---again ! Joy Bangla ----
      January 23 at 1:40am ·  ·  2
    • Nurul Haque Monie Conspirators are still active to do damage to pro-independence forces.
      January 23 at 3:05am · 
    • Mohammed Mizanur Rahman juddhaporadhider bicar somponno na houya obdi khub sotorkotar sohit poth cholte hobe. sorkarer jonno samner dingulo kintu kata chorano.
      January 23 at 7:21am · 
    • Jahid Zobayer 
      uncle ami kokhonoi awameleague birodhi na ..hoito ja apni mone korsen ....apni amar profile dekhte paren ami nizeke boli by blood and by birth a awameleagian ..kintu ja sotti ta amake bolte hobei ...syed ashraf er karone doler kono kormokan...See More
      January 23 at 9:50am · 
    • Abu M. Yousuf গনতন্ত্রের স্বপক্ষে আজ বাংলাদেশের জনগন ঐক্যবদ্ধ, তাই সরকারের উচিত হবে সদা সতর্ক থাকা এবং গনতন্ত্রের বিরুদ্ধে যে কোন ষড়যন্ত্র শক্ত হাতে হাতে দমন করা। ধন্যবাদ।
      January 23 at 7:24pm ·  ·  3
  •  

 

 

বিরোধী দলের উপর জনগণকে চাপ দেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

 

সাজিদুল হক সাজু, শামীম খান ও ইশতিয়াক হুসাইন

সংসদ ভবন থেকে: বিরোধীদল যাতে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে অবস্থান না নেয় সে জন্য দেশবাসীকে চাপ প্রয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন 

 
 
সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে তিনি যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার জন্য দেশে লবিস্ট নিয়োগের মাধ্যমে দেশের টাকা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করার জন্য জনগণের সহায়তা চাই। দেশবাসীকে এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। বিরোধীদল যাতে যুদ্ধাপরাধীদের সহায়তা করতে না পারে সেজন্য জনগণকে তাদের উপর চাপ দিতে হবে।’
বুধবার জাতীয় সংসদের নির্ধারিত প্রশ্নোত্তরে বেনজীর আহমদের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বেনজীর আহমদ প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, কী ধরনের কাজ করলে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে যায় সে বিষয়ে আইনি কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হবে কিনা?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঠিক ওভাবে বলা যায় না। কোনটা যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে যায়। তবে যারা করছে তারাতো বুঝে-শুনেই করছে। এটা বিরোধীদলের নেতাদেরও বোঝা উচিত। তিনি বুঝে-শুনেই তাদের (জামায়াত) সঙ্গে আছে। তিনিই (খালেদা) তাদের মন্ত্রী বানিয়েছেন।’
সংসদ নেতা বলেন, ‘বিরোধী দলকে বুঝতে হবে যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে যেয়ে যেন তারা ৩০ লাখ শহীদের রক্তের সাথে বেঈমানী না করে। আমি বুঝি না কেন তিনি (খালেদা) দুই লাখ মা-বোনোর যন্ত্রণা বোঝেন না। তারতো বোঝা উচিত।’
ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন প্রধানমন্ত্রী কাছে জানতে চান, যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে কাজ করার জন্য বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করা দিগন্ত টেলিভিশনের চেয়ারম্যান মীর কাশেম আলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা?
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে পত্র-পত্রিকায় খবর এসেছে। আমেরিকাতে এধরনের লবিস্ট ফার্ম রয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানের এ সংক্রান্ত কাগজ-পত্রও আমাদের (সরকারের) কাছে আছে। আইন অনুযায়ী তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের কথা উল্লেখ করে সংসদ নেতা বলেন, ‘এ বিষয়ে মানি লন্ডারিং আইনেও তদন্ত হচ্ছে। কারণ বিষয়টির সঙ্গে টাকা পাচারের বিষয় জড়িত। জনগণের টাকা পাচার করে যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে কাজ করে যাবে, তা হতে দেওয়া যায় না।’
জাতীয় পার্টির মাইদুল ইসলামের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা বলেন, ‘সরকারের মন্ত্রীরা স্যুট-বুটে স্মার্ট নয়, কাজে স্মার্ট। কোনো মন্ত্রী চুপ করে বসে নেই। সবাই কাজ করছেন। রাষ্ট্রপতির ভাষণ দেখলেই তার প্রমাণ পাওয়া যায়।’ 
মাইদুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমার মনে হয় দুই-একজন মন্ত্রী ছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আর কেউ সাহায্য করেন না। পরিবেশ ও বন মন্ত্রীও বোধ সাহায্য করেন না। কারণ এখন পর্যন্ত অনেক ইট ভাটা বন্ধ করা হয়নি। মন্ত্রণালয় কাজ করছে না।’
জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সব ইট-ভাটা বন্ধ করা যাবে না। মাননীয় সদস্যের (মাইদুল) মনে হয় বাড়ি-কারখানা বানানো হয়ে গিয়েছে। তাই উনি এগুলো বন্ধ করতে বলছেন। কিন্তু সব ইট ভাটাতো বন্ধ করা যাবে না। দেখতে হবে সেগুলো পরিবেশ বান্ধব কিনা।’
তিনি আরো বলেন, ‘আপনি (মাইদুল) দুই-একজন মন্ত্রীর কথা বলেছেন ওর মধ্যে আপনার দলেরও কিন্তু একজন (জিএম কাদের) রয়েছেন।’

জাতীয় স্বার্থ নিয়ে কোনো আপস নয় : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

২৭ ডিসেম্বর ২০১১ | ১৩ পৌষ ১৪১৮

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নে তার সরকার কোনো আপস করবে না। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি সবসময় লড়াই করেছেন। ভোট কারচুপির মাধ্যমে ফের ক্ষমতায় আসার কোনো ইচ্ছা তার নেই। গতকাল সোমবার নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎ করলে তিনি এসব কথা বলেন।  বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র। তিনি যতদিন বেঁচে থাকবেন, ততদিন কারও কাছে মাথা নত করবেন না। গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করা, জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করা, যুদ্ধাপরাধের বিচার ও সুষ্ঠু নির্বাচন ইস্যুতে তার সরকার কোনো আপস করবে না।ইনডিপেনডেন্ট পত্রিকার সম্পাদক মাহবুবুল আলম প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। এ ছাড়া প্রতিনিধি দলে ছিলেন ইত্তেফাক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, নিউজ টুডের সম্পাদক এম রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, ইনকিলাব সম্পাদক এএমএম বাহাউদ্দিন, সংবাদ সম্পাদক আলতামাশ কবির, আজাদী সম্পাদক এমএ মালেক, পূর্বকোণ সম্পাদক এম তসলিম উদ্দিন চৌধুরী, সমকাল প্রকাশক এ. কে. আজাদ ও যুগান্তর প্রকাশক নূরুল ইসলাম বাবুল।তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব এম ওয়াহিদ-উজ-জামান, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ ও সেন্টার ফর রিসার্চ এন্ড ইনফরমেশনের প্রধান নির্বাহী মাহবুবুল হক শাকিল প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করা এবং জনগণের কল্যাণ ও বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত করার ব্যাপারে তার সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন প্রশ্নে তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি এ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছেন। তিনি বলেন, তার সরকারের অধীন যতগুলো নির্বাচন হয়েছে সবগুলো অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয়েছে।দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিশ্ব অর্থনীতি চাপের মুখে থাকলেও বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভালো। সম্পাদকদের প্রতি তিনি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের আহ্বান জানান। পত্রিকায় যেন কোনো মিথ্যা খবর ছাপা না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গে তৎকালীন বিএনপি সরকারের সম্পৃক্ততারP অভিযোগ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমি এখনো বিশ্বাস করি এটা প্রকাশ্য দিবালোকের মতো সত্য যে সরকারের মদদ ছাড়া এ ধরণের ঘটনা ঘটতে পারে না। পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিলো। তাতে কোনো সন্দেহ নেই।' রোববার সকালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, 'রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিকভাবেই মোকাবেলা করতে হবে। গ্রেনেড মেরে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে শেষ করে দেবে এটা হবে না। এজন্যই ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলার বিচারের রায় বাংলার মাটিতে কার্যকর করা হবে। যেভাবে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে, সেভাবে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচারও করা হবে।' তিনি বলেন, 'আমি রাজনীতি করি এ দেশের মানুষের জন্য। তাই আল্লাহ হয়তো সেদিন আমাকে রক্ষা করেছেন, আমার হাত দিয়ে ভালো কিছু করানোর জন্য।' ১৯৮২ সালে চট্টগ্রামে আমাকে হত্যার উদ্দেশে গুলি চালানো হয়েছিল। সেদিনও ২৪ জন নেতাকর্মী নিহত হয়েছিল। তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস, এদেশের মানুষের ভাল কিছু করতেই মহান আলাহতালা আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। এদেশের মানুষের জন্য সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছি। আমার পিতা এদেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ করে গেছেন। তাঁর আদর্শ আমার প্রেরণা। তিনি জনগণের কাছে তাদের কল্যাণে সবসময় কাজ করে যাওয়ার দোয়া কামনা করেন। শেখ হাসিনা বলেন, 'তখনকার সময় যারা ক্ষমতায় ছিলো তারা এ হামলার সুষ্ঠু তদন্ত করেনি। উল্টো সকল আলামত নষ্ট করে দিয়েছিলো। অবিস্ফোরিত গ্রেনেড আলামত হিসাবে সংরক্ষিত না রেখে ধ্বংস করা হয়েছিলো। তাহলে সত্য লুকানোর জন্যই কি এগুলো করা হয়েছিলো।' জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে তিনি আরও বলেন, 'বাংলাদেশে এই ধরনের ঘটনা আর যাতে না ঘটে- সেজন্য সরকারে আসার পর আমরা কঠোর অবস্থান নিয়েছি। যত বাধাই আসুক জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমরা অভিযান চালিয়ে যাবো।'

তিনি বলেন, 'সন্ত্রাস জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমরা সেদিন র্যা লি করছিলাম। ওই দিন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনও তৎপরতা দেখিনি। অথচ এমনিতে আমরা সভা সমাবেশ করতে গেলে পুলিশ ঘিরে রাখতো। কিন্তু ওইদিন পুলিশের তৎপরতা ছিল না। এমনকি গ্রেনেড হামলার পরে আহত-নিহতদের সাহায্যের জন্যও তারা এগিয়ে আসেনি। উল্টো আমাদের দলের যারা আহত-নিহতদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছিল তাদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে।'

পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারগ্যাস ছুঁড়বে কেন প্রশ্ন করে তিনি বলেন, 'নিশ্চয় হামলাকারী ঘাতকদের পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করতে পুলিশ এটা করেছিল। গ্রেনেড হামলায় আহতদেরও হাসপাতালে ঠিক মতো চিকিৎসা নিতে দেওয়া হয়নি। ঢাকা মেডিকেলে সেইদিন তেমন ডাক্তারও ছিলো না। বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে আহতদের ভর্তি করতে চায়নি।' তিনি বলেন, 'এ ঘটনার বিচার না করে তখন জর্জ মিয়াকে নিয়ে নাটক সাজানো হয়েছিলো। জর্জ মিয়ার একার পক্ষ্যে এতো গ্রেনেড বহন করা কি করে সম্ভব ছিলো।'

 ২১ অগাস্টের গ্রেনেড হামলারঘটনা স্মরণ করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, "আমি বক্তব্য শেষে মাইক রেখে সিড়ির দিকে পা বাড়িয়েছি। তখন গোর্কি (যুগান্তরের প্রধান ফটোসাংবাদিক এস এম গোর্কি) আমাকে বললো, 'আপা একটু দাঁড়ান। আমি ছবি নিতে পারিনি।' আমি দাঁড়ালাম। তখনই হামলা শুরু হলো। আমার পাশে হানিফ ভাই (ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ) ছিলেন। গ্রেনেডের যে স্পি¬ন্টার আমার গায়ে লাগার কথা ছিলো, তা উনা

র গায়ে লেগেছিলো। টপ টপ করে রক্ত আমার গায়ে পড়ছিলো।"

২১ অগাস্টের হামলায় নিহত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য রফিকুল ইসলামের (আদা চাচা) কথা স্মরণ করে করে শেখ হাসিনা বলেন, "ঝড়-বৃষ্টি যাই থাকুক না কেন, আওয়ামী লীগের সকল সমাবেশেই আদা চাচা উপস্থিত থাকতেন। 

শেখ হাসিনা নিহত ও আহতদের স্মরণ করে বলেন, 'আমি বক্তব্য শেষ করে সামনের দিকে পা বাড়িয়েছি তখনই হামলাগুলো হলো। একে পর এক গ্রেনেড পড়তে থাকে। ১২/১৩টি গ্রেনেড এসে পড়ে ছিলো। আমার পাশে হানিফ ভাই (ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ) ছিলেন। তিনি আমাকে আড়াল করে রাখেন। গ্রেনেডের স্প্রিন্টার আমার গায়ে না লেগে ওনার গায়ে লেগেছিলো। হানিফ ভাইয়ের সারাগায়ে রক্ত ঝড়ছিলো, সে রক্ত আমার গায়ে এসে পড়ে।  আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সাহারা খাতুন, ওবায়দুল কাদের, মতিয়া চৌধুরী, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমদ ও সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন।

 

 

 

 

 

Summary of Corrupt Payments Made at the Direction of SIEMENS BANGLADESH to Arafat Rahman Koko. Three other people close to Hawa Bhobon including Telecommunications Minister Aminul Haque also received a huge amount, which I am not bringing in this table. I have exact dates and amount they received from bribe from SIEMENS which I will disclose in a separate write-up. 

Approx. Date of Payment

Recipient 

How Payment Was Made 

Amount of Payment (Expressed In USD) 

May 4, 2001 

Arafat Rahman Koko

Through Intercom 

$100,000.00 

July 19, 2001 

Arafat Rahman Koko

Through Intercom 

$100,000.00 

February 28, 2002 

Arafat Rahman Koko

Through Intercom 

$200,000.00 

Late December 2002 

Arafat Rahman Koko

Unknown 

$12,000.00 

December 2003 

Shahrin Islam Tuhin (Khaleda Zia’s nephew)

Unknown 

$1,000.00 

May 12, 2004 

Arafat Rahman Koko

Cash 

$30,398.83 

November 2004 

Arafat Rahman Koko

Through Intermediary A 

$177,863.00 

December 3, 2004 

Arafat Rahman Koko

Through Intermediary A 

$186,312.00 

January 13, 2005 

Arafat Rahman Koko

Through Intermediary A 

$213,858.00 

August 18,2005 

Arafat Rahman Koko

Through Intermediary A 

$180,000.00 

November 15, 2005 

Arafat Rahman Koko

Through Intermediary A 

$200,000.00 

March 23, 2006 

Arafat Rahman Koko

From Siemens San Francisco , California account through Intermediary A 

$80,000.00 

March 23, 2006 

Arafat Rahman Koko

From Siemens San Francisco , California account through Intermediary A 

$80,000.00 

SYMANS bribe money was channeled to form Islamic terrorist group in Bangladesh 

Telecommunications Minister Aminul Haque of Jamaat-BNP alliance government of Khaleda Zia was also involved in this SYMANS bribery scandal. US prestigious media outlet PBS 

Conducted an investigative report under its Frontline on how Telecommunications Minister Aminul Haque used SYMANS bribe money to fund terrorist groups Jamaatul Mujahedin Bangladesh (JMB). I will ask readers to watch prestigious international media PBS investigative report on how BNP funded fundamentalist terrorist organization JMB in Bangladesh . 

 

‘ইনি সেই গোলাম আযম, যিনি ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর প্রতিটি অন্যায়, বেআইনি, অমানবিক ও নিষ্ঠুর কাজ প্রকাশ্যে সমর্থন করেছিলেন; যিনি মুক্তিযোদ্ধাদের দেশদ্রোহী বলে আখ্যা দিয়ে তাঁদেরকে সমূলে ধ্বংস করার আহ্বান জানিয়েছিলেন; যিনি আলবদর বাহিনী গড়ে তুলে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নির্মমভাবে হত্যা করার প্ররোচনা দিয়েছিলেন।

১৯৯২ সালে গণ-আদালতে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করে ঠিক এভাবেই বলেছিলেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। তিনি আরও বলেছিলেন, ‘আমি অভিযোগ করছি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের পক্ষে; আমি অভিযোগ করছি পাকিস্তানি সৈন্যদের হাতে লাঞ্ছিত মায়েদের পক্ষে; আমি অভিযোগ করছি হানাদার বাহিনী দ্বারা ধর্ষিত বোনদের পক্ষে; আমি অভিযোগ করছি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দোসর আলবদর কর্তৃক নিহত বুদ্ধিজীবীদের পক্ষে; আমি অভিযোগ করছি শত্রুর হাতে প্রাণদানকারী পিতামাতার অসহায় এতিম সন্তানদের পক্ষে; আমি অভিযোগ করছি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের নাগরিকদের পক্ষে।

৪০ বছর ধরে চলা এমন লাখো নির্যাতিতের অভিযোগেরই প্রাথমিক ফল পাওয়া গেল গতকাল বুধবার। মানবতাবিরোধী অপরাধের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেওয়ার এক দিন পর তাঁকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৬২টি অভিযোগ দাখিল করা হয়। তাতে গোলাম আযমকে বলা হয়েছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী এবং ওই সময়ে সংঘটিত গণহত্যার প্রতীক। অভিযোগ অনুযায়ী, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতের আমির গোলাম আযমের চেষ্টায় শান্তি কমিটি, রাজাকার, আলবদর, আলশামস, পাইওনিয়ার ফোর্স প্রভৃতি সহযোগী বাহিনী গঠন করা হয়। পাকিস্তান সেনাবাহিনী, রাজাকার ও সহযোগী বাহিনীগুলো মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সারা দেশে যেসব মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটিয়েছে, নেতা হিসেবে গোলাম আযম এসব অপরাধ করার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব ও নির্দেশদাতা। তিনি পাকিস্তানের তৎকালীন শাসকগোষ্ঠীকে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যায় উৎসাহ, প্ররোচনা ও উসকানি দিয়েছেন।

গোলাম আযমের বাংলাদেশ-বিরোধিতা কেবল ১৯৭১ সালেই সীমাবদ্ধ ছিল না। স্বাধীনতার পরেও তিনি তা চালিয়ে গেছেন। বাংলাদেশকে কখনোই মেনে নেননি তিনি ও তাঁর সঙ্গীরা। অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ১৯৯২ সালে এ নিয়ে বিশেষ অভিযোগও তুলেছিলেন। তিনি গণ-আদালতে বলেছিলেন, ‘গোলাম আজ সর্বদা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছেন। বিভিন্ন দেশে সশরীরে উপস্থিত থেকে বক্তৃতা ও আলোচনার মাধ্যমে, স্মারকলিপি ও বিবৃতির দ্বারা, মুদ্রিত ও প্রকাশিত প্রচারপত্র ও প্রবন্ধের মধ্য দিয়ে এবং সাংগঠনিক উদ্যোগ গ্রহণ করে তিনি নিজে এবং অপরের দ্বারা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে দুর্বল ও সহায়হীন, বিচ্ছিন্ন ও বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্র করেছেন। বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে এতে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।’

বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র ও বিরোধিতার অসংখ্য নজির রয়েছে গোলাম আযমের কথাতেও। পুরো ১৯৭১ জুড়ে এ ধরনের তৎপরতার সংবাদ প্রতিদিন ছাপা হয় জামায়াতের মুখপত্র দৈনিক সংগ্রাম-এ। এমনকি আত্মজীবনীতেও গোলাম আযম লুকাননি নিজের মনোভাব। তাঁর আত্মজীবনীমূলক বইয়ের নাম জীবনে যা দেখলাম। বইটির তৃতীয় খণ্ডের পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায় গোলাম আযম মুক্তিযুদ্ধবিরোধী নানা মন্তব্য করেছেন। একই সঙ্গে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও রাজাকার বাহিনীর সাফাই গেয়েছেন, পাকিস্তানি বাহিনীকে সহযোগিতা করার যুক্তি খুঁজেছেন, বর্ণনা করেছেন শান্তি কমিটি গঠনের প্রেক্ষাপট। তাঁর দাবি, শান্তি কমিটির সঙ্গে জনগণের কোনো শত্রুতা ছিল না, মুক্তিযোদ্ধাদের কারণেই জনগণের সঙ্গে তাঁদের দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়া গোলাম আযমের কাছে ‘পাকিস্তান বিভক্তি ও বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের বিষাদময় কাহিনি’। জীবনীর তৃতীয় খণ্ডের ‘১৬ ডিসেম্বরে আমার অনুভূতি’ অধ্যায়ে গোলাম আযম লেখেন, ‘ডিসেম্বরের মধ্যেই চূড়ান্ত ফয়সালা হয়ে যাবে, তা ধারণা করিনি বলে মনের দিক দিয়ে প্রস্তুত ছিলাম না।’ তিনি সে সময়ে পাকিস্তানে ছিলেন। ১৯৭১ সালের ২২ নভেম্বর জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের বৈঠকে যোগ দিতে পাকিস্তানে যান। এরপর তিনি আর দেশে ফেরেননি।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তাঁর অনুভূতি জানাতে গিয়ে মাসিক উর্দু ডাইজেস্ট-এর সম্পাদক আলতাফ হোসাইন কুরাইশীকে গোলাম আযম সে সময়ে বলেছিলেন, ‘উপমহাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম হিন্দু ও শিখ বাহিনীর নিকট প্রায় এক লাখ সদস্যের সশস্ত্র বাহিনী আত্মসমর্পণ করল। ইংরেজ আমলেও মুজাহিদ বাহিনী শিখদের নিকট আত্মসমর্পণ করেননি। তাঁরা শহীদ হয়েছেন।’

মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর নানা অপকর্মের সহযোগী রাজাকার বাহিনীকে দেশপ্রেমিক এবং মুক্তিযুদ্ধকে নাশকতামূলক তৎপরতা উল্লেখ করে বইটির তৃতীয় খণ্ডে গোলাম আযম লেখেন, ‘যে রেযাকাররা (রাজাকার) দেশকে নাশকতামূলক তৎপরতা থেকে রক্ষার জন্য জীবন দিচ্ছে, তারা কি দেশকে ভালবাসে না? তারা কি জন্মভূমির দুশমন হতে পারে?’

গোলাম আযমের আরেক উদ্ভট দাবি, মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধারাই পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে হিংস্র হতে বাধ্য করেছেন। পাকিস্তানিদের পক্ষে তাঁর সাফাই, মুক্তিযোদ্ধারা অবাঙালিদের নির্বিচারে হত্যা করেছেন এবং এর প্রতিশোধ নিতেই পাকিস্তানি বাহিনী বাঙালিদের প্রতি নৃশংস হতে বাধ্য হয়েছে। তাঁর আক্ষেপ, ‘মুক্তিযোদ্ধারা শান্তি কমিটির সঙ্গে শত্রুতা না করলে জনগণের পর্যায়ে শান্তি কমিটি ও মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হতো না।’

গোলাম আযমের বাংলাদেশবিরোধী তৎপরতা স্বাধীনতার পরও বজায় ছিল। পাকিস্তানে তিনি মাহমুদ আলী ও খাজা খায়েরউদ্দীনের সঙ্গে মিলে পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি নামে একটি সংগঠন তৈরি করেছিলেন। তিনি দীর্ঘকাল নিজেকে পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর আমির বলে পরিচয় দিতেন। ১৯৭২ সালে লন্ডনে ‘পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি’ গঠন করেন। ১৯৭৪-এ মাহমুদ আলীসহ কয়েকজন পাকিস্তানিকে নিয়ে তিনি পূর্ব লন্ডনে পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটির এক বৈঠক করেন। সভায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তান নিয়ে একটি কনফেডারেশন গঠনের আন্দোলন করার সিদ্ধান্ত হয়। ওই সভায় গোলাম আযম ঝুঁকি নিয়ে হলেও বাংলাদেশে ফিরে অভ্যন্তর থেকে কাজ চালানোর প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছিলেন। তারপর পাকিস্তানি পাসপোর্ট ও তিন মাসের বাংলাদেশি ভিসা নিয়ে ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশে আসেন তিনি। 

পাকিস্তানি পাসপোর্টধারী গোলাম আযম বাংলাদেশে এসে আর ফিরে যাননি। গোটা আশির দশক ছিলেন জামায়াতের অঘোষিত আমির। ১৯৯০ সালে এরশাদ পতনের পর প্রকাশ্য রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৯১ সালের ২৯ ডিসেম্বর গোলাম আযমকে প্রকাশ্যে আমির ঘোষণা করে জামায়াত।
এর বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদ করেছিলেন শহীদজননী জাহানারা ইমাম। ১৯৯২ সালে নাগরিক সমাজকে সঙ্গে নিয়ে গঠন করেন গণ-আদালত। সেই প্রতীকী গণ-আদালতে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে ১০টি অভিযোগ আনা হয়েছিল। অভিযোগের প্রতিটিরই শাস্তি ছিল মৃত্যুদণ্ডযোগ্য।
তবে সে সময়ের বিএনপি সরকার শহীদজননী জাহানারা ইমামসহ ২৪ জন দেশবরেণ্য ব্যক্তির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করে। রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা মাথায় নিয়েই জাহানারা ইমাম ১৯৯৪ সালে ক্যানসারে ভুগে মারা যান। ওই বছরই গোলাম আযমকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়।
আজ জাহানারা ইমাম নেই। কিন্তু তাঁর ইচ্ছার কিছুটা হলেও পূরণ হলো গোলাম আযমকে কারাগারে পাঠানোর মাধ্যমে।

 

Chargesheet okayed against Khaleda in trust case

But Monirul had told ACC that he deposited the money he got from Harris Chowdhury. 

Khaleda did not respond to four ACC letters in this regard. Dhaka, Jan 16 (bdnews24.com) -- The Anti-Corruption Commission (ACC) has approved the chargesheet in a case involving a charity fund named after late president Ziaur Rahman during the latest premiership of BNP chief Khaleda Zia. 

The approval in the Zia Charitable Trust case filed against the BNP chairperson and three others means the corruption watchdog would now push the politically sensitive case further for a legal outcome. 
There are allegations that the fund, a portion of which was spent to buy land for the charity, had come from rogue sources. 

"The decision to submit the chargesheet of the case against Khaleda Zia and three others has been taken following information and proofs acquired through a thorough investigation. The commission approved the chargesheet on Monday morning," ACC's chief commissioner Muhammad Sahabuddin told bdnews24.com. 

Thirty-six people have been made witnesses in the case, he said. 

Other accused in the case are Khaleda's former political secretary Harris Chowdhury, his assistant private secretary (APS) Ziaul Islam (Munna) and former Dhaka mayor's APS Monirul Islam Khan. 

ACC deputy director, also the plaintiff, Harunur Rashid told bdnews24.com, "Chargesheet against Khaleda Zia and other accused will be submitted to the court today (Monday)." 
After the current government took charge, this is for the first time the ACC is going to submit any chargesheet against Khaleda. 

The Anti-Corruption Commission on Aug 8 sued Khaleda, charging her with using undisclosed income to buy land for the charity. 

A 42-kantha prime piece of land in the capital's Kakrail was bought from Suraiya Khanam in January 2005 for Tk 65.2 million. 

The Zia Charitable Trust, of which Khaleda is chairperson, did not have any known source of income for around Tk 12.5 million - a sum that made up part of the payment for the land purchased in Dhaka. 

According to ACC approved chargesheet, information of over Tk 31.5 million transactions was found apart from the amount given to the owner of the land, which allegedly came from illegal sources. 
According to case details, an account in the name of Shaheed Zia Charitable Trust was opened in the prime minister's office branch of Sonali Bank on Jan 9, 2005. Around Tk 78.9 million was deposited in the account the next week. BNP contributed Tk 61.9 million, Metro Makers Developers Limited Tk 13.5 million and Ziaul Islam Tk 2.7 million. 

ACC alleged that money sources other than BNP party fund have no legal base and that then prime minister Khaleda Zia abused her official influence to collect the money from various sources. 
Metro managing director A F S Zahangir told ACC investigators that Dhaka mayor's APS Monirul used the name of his firm to deposit the money in the account. 

 

 

জননেতা আব্দুর রাজ্জাক এমপির মত্যৃতে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের গভীর শোক প্রকাশ

২৪ ডিসেম্বর ২০১১, ১০ পৌষ ১৪১৮

মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, বর্ষীয়ান জননেতা, বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত সহযোগী, সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য আবদুর রাজ্জাক এমপি আর নেই। লন্ডনের কিংস কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৪৬ মিনিটে (লন্ডন সময় বিকেল ৩টা ৪৬ মিনিটে) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্নালিল্লাহি ... রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। আবদুর রাজ্জাকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার রাতে এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী দেশের রাজনীতিতে আবদুর রাজ্জাকের অসামান্য অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘তার মৃত্যুতে জাতি একজন নিষ্ঠাবান রাজনীতিক ও বঙ্গবন্ধুর অনুসারীকে হারালো।’  প্রধানমন্ত্রী বলেন, আবদুর রাজ্জাক ছাত্রজীবন থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার ও স্বাধীনতা সংগ্রামে বিশাল ভূমিকা পালন করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, গতিশীল ও দক্ষ নেতৃত্বের মাধ্যমে আবদুর রাজ্জাক জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছেন।                                     (আবদুর রাজ্জাকের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন)

শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যায়ই বাঁচার আর কোনো আশা না থাকায় স্ত্রী ফরিদা রাজ্জাক চিকিৎসকদের অনুরোধ করেছিলেন একজন মৌলভী ডেকে তওবা পড়ানোর পরই লাইফ সাপোর্ট খুলে দেওয়ার জন্য। পরে তার শয্যাপাশে কোরআন তেলাওয়াতও শুরু হয়। লন্ডন সময় বিকেল ৩টা ৪৬ মিনিটে আবদুর রাজ্জাকের মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় চিকিৎসকরা ভেন্টিলেশন সিস্টেম খুলে আনুষ্ঠানিকভাবে মৃত ঘোষণা করেন তাকে। 

তিনি স্ত্রী ফরিদা রাজ্জাক, দুই ছেলে নাহিম রাজ্জাক ও ফাহিম রাজ্জাক, পুত্রবধূ মালিহা হোসাইন ও একমাত্র নাতি চায়াফ এমডি রাজ্জাকসহ বহু আত্মীয়স্বজন, রাজনৈতিক সহকর্মী ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

আবদুর রাজ্জাকের মৃত্যুতে রাজনৈতিকসহ সর্বমহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিভিন্ন দল ও সংগঠনের নেতাসহ তার রাজনৈতিক সহকর্মী, আত্মীয়স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষী ও সর্বস্তরের মানুষ রাজধানীর গুলশানের তার বাসায় ছুটে যান। আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এবং তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন রাতেই ওই বাসায় গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। তার নিজ এলাকা শরীয়তপুরেও শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আবদুর রাজ্জাকের মরদেহ বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটযোগে আগামীকাল রোববার সকালে দেশে আনা হবে। বিমানের একটি ফ্লাইট আজ শনিবার সকালে লন্ডনে যাবে এবং লন্ডন সময় বিকেল ৫টায় মরদেহ নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবে।
এর আগে আবদুর রাজ্জাক দীর্ঘদিন থেকেই কিডনি, লিভার ও ফুসফুসের জটিলতাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। সাবেক এই মন্ত্রী দেশ-বিদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাও নিয়েছেন। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় গত সেপ্টেম্বর মাসে লন্ডনের কিংস কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। তার দেহে লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য ১১ ডিসেম্বর দিন ঠিক হলেও পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানান, তার কিডনিও প্রতিস্থাপন করতে হবে। তারা দুটি অঙ্গই এক সঙ্গে প্রতিস্থাপন করার পক্ষে মত দেওয়ায় অস্ত্রোপচার পিছিয়ে যায়। এ অবস্থায় শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে তাকে ওই হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হয়। গত তিনদিন ধরে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল তাকে।
শরীয়তপুর প্রতিনিধি জানান, আবদুর রাজ্জাকের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে রাতেই শরীয়তপুরের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। তার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহকর্মীরা শোকে মাতম করতে থাকেন। কান্নায় ভেঙে পড়েন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী-সমর্থক এবং তার ভক্ত-অনুরাগীরাও।
তার জন্মস্থান ডামুড্যায় তার পৈতৃক বাড়িতেও শোকের মাতম চলছে। রাজনৈতিক সহকর্মী ও সহমর্মীদের অনেকেই ছুটে যান এ বাড়িতে। তার নির্বাচনী এলাকা ভেদরগঞ্জ, ডামুড্যা ও গোসাইরহাট উপজেলা সদরের সব দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে শোক প্রকাশ করেন স্থানীয়রা।

তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, স্পিকার আবদুল হামিদ অ্যাডভোকেট, ডেপুটি স্পিকার কর্নেল (অব.) শওকত আলী, আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, পানিসম্পদমন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম, এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি, সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান মলি্লক, জেএসডি সভাপতি আসম আবদুর রব, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূঁইয়া, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক এমপি, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. অসীত বরণ রায়, যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা, সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, জয়বাংলা সাংস্কৃতিক ঐক্যজোট সভাপতি সালাউদ্দীন বাদল, সাধারণ সম্পাদক শেখ আবদুল কাদের, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ, নিউইয়র্ক সিটি আওয়ামী লীগ সভাপতি নূরুন্নবী, যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগ সভাপতি মিসবাহ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আলম, যুক্তরাষ্ট্র স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মহিউদ্দিন দেওয়ান, সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান সরদার, যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রলীগ সভাপতি জেড আলম জয়, বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জেলা পরিষদের প্রশাসক ডা. মোখলেসুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সাবেক চিফ হুইপ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, মহানগর আওয়ামী লীগ আহ্বায়ক সিটি মেয়র শওকত হোসেন হিরন, সাংসদ তালুকদার মোঃ ইউনুস, মনিরুল হাসান খান, অ্যাডভোকেট আফজালুল করিম, শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুর রব মুন্সি, সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, জেলা পরিষদের প্রশাসক মাস্টার মজিবুর রহমান, জেলা যুবলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন মৃধা, সাধারণ সম্পাদক নুহুন মাদবর, ভেদরগঞ্জ পৌর মেয়র মান্নান হাওলাদার, ডামুড্যা পৌর মেয়র হুমায়ুন কবির বাচ্চু ছৈয়াল, উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন মাঝি, ভেদরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির মোল্লা, গোসাইরহাট উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, নড়িয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব বেপারী, পৌর মেয়র হায়দার আলী, জাজিরা উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন, পৌর মেয়র আবুল খায়ের ফকির, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ভবেশ্বর রোয়াজা নিকি, শরীয়তপুর সাহিত্য একাডেমী সভাপতি মফিজুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি যতীন্দ্রলাল ত্রিপুরা এমপি, সহ-সভাপতি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুরা, সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলম, খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র রফিকুল আলম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শানে আলম এবং জেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম।

 Advocate Sahara Khatun

 Advocate Sahara Khatun Honorable Home MinisterMinistry of Home Affairs Government of the People's Republic of Bangladesh E-mail: minister@mha.gov.bd

Advocate Shahara Khatun is an Eminent Politician, veteran social Worker, noted lawyer, First woman Home Minister, Ministry of Home Affairs, People's Republic of Bangladesh. She was born in 1943 in Kurmitola village in Dhaka City, in a noted Muslim family. Her Father's name is Late Abdul Aziz master and her mother's name is Late Turjan nesa. 

During Jukto front election in the mid fiftees She started her political career at her early age delivering speech in the Kurmitola school field in the presence of national leader Moulana Vasani, Sher-e-Bangla A,K, Fazlul hoq and Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman. She actively participated in all the movements, meetings, processions. She dedicated her life to implement the ideology of the father of the nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman. 

Professionally she is a lawyer she started her professional career as a junior lawyer of our highly honorable president Zillur Rahman. She earned good will in her profession through foresight ness, intelligence, calm & quite nature. Before joining Home Ministry she was a veteran lawyer of Bangladesh Supreme Court. She formed Bangladesh `Awami Aingibi Parishad'(Bangladesh Awami Lawyers Association) with the participation of lawyers from all over the country to peruse the political cases filed against Awami League Leader's and workers. She is founder president of Bangladesh `Awami Ainjibi Parishad' and still she is holding the post. She was also the member of the Federation of International Woman Lawyer's Association. She was elected Presidium Member of Bangladesh Awami League in the recent council held in 2009. 

Shahara is very dedicated through the idology of our Liberation War in 1971 & remain active in the politics, on the other hand she is also working for the development and establishing rights of woman of our country. After Liberation Bangladesh Mahila Samity(Bangladesh Woman's Association) was formed under the leadership of Late Nilima Ibrahim through Gazette Notification. Bangladesh Mahila Samity is a non-political social organization working for the development of woman. Advocate Shahara Khatun was the founder Member of Bangladesh Mahila Samity. Later on she was elected joint secretary and secretary of the organization. Still she is the Secretary General of Bangladesh Mahila Samity. 

She was elected as chairman of the Finance committee of the Bar council and worked for the development of the lawyers. While joining as a lawyer she perused the political cases against Awami league leaders and workers. She also perused all the political cases against Awami league president & now Prime Minister Sheikh Hasina. 

In her own constituency she also engaged herself in the different organizations like school, college, mosque, madrasa and other social organizations. During her political career she was arrested and tortured several times and was in the jail. Lot of false & politically motivated cases filed against Shahara Khatun. 

Advocate Shahara Khatun has vast working experience in the field international arena of human rights and woman development. She worked as a board member in the Human Rights organization `International alliance of woman'. She was active member of `Associated country woman of the world & Woman Council. She participated the seminar scheduled in USA, UK, France, Norway, Japan, India, Russia, China, Italy, Bulgaria, Holland and Sri-Lanka. As a representative of Bangladesh Mahila Samity she also participated in the DPI NGO conference in New York, USA. 

In the last tenure of the government (1996-2001) under the leadership of Prime Minister Sheikh Hasina, Shahara Khatun was the Director of the Karmasangsthan Bank and member of Housing finance Trustee board. Shahara Khatun worked hard for the development of woman and the common people of the country. 

Advocate Shahara Khatun was elected as the Member of the 9th Parliamentary Election held on 20th December 2008 from the constituency (Dhaka-18) defeating her opposition with huge margin of votes. She took oath as the Minister on 6 January, 2009 and joined the Ministry of Home Affairs on 7 January, 2009. 

On 25 February 2009 very unfortunate incident happened in the BDR(Para Military Force) headquarter at Pilkhana. At 25th midnight she took initiative to unarm the BDR mutinies. Under the able Leadership and directives of Prime Minister Sheikh Hasina Shahara Khatun played a courageous role in rescuing the BDR officials and their family member's even risking her life. 

After taking charge of the Home Ministry Shahara Khatun instructed police officials to take stern action against any kind of militancy, terrorism and extremism. Special drive has been initiated, high profile extremists and terrorists arrested and put them behind the bar. 

As a Minister Advocate Shahara Khatun is working hard for the overall improvement of Bangladesh police and other departments as well. Presently people-police ratio is approximately 1:1200. Home Ministry has planned to recruit about 32000 police forces within 3 years which will reduce the present gap significantly. 

To give better service to the people police has introduced one stop services in the Police stations. Model Police Station has been established. Each Police station has got a service delivery officer. Victim support centre, complain cell, highway police, woman armed police has been introduced. Community policing also working successfully. Under the election Manifesto of Bangladesh Awame League vision 2021 has been initiated. To make Bangladesh a `Digital Bangladesh' within 2021 Home Ministry has also taken imitative to make police more IT based. Home Ministry also focusing on logistics, accommodation and other issues to make police an efficient and professional police force. 

Shahara Khatun has also Keen interest on the development of other agencies under Home Ministry. Ration (groceries in a Subsidized rate) has been given with equal rations at all level in the departments like BDR(Para Military Force) Ansar,Fire Service, Jail police. 

Advocate Shahara Khatun is also focusing on woman empowerment. Under her guidance woman Officer in Charge (OC) has appointed for some police stations for the first time in the history of Bangladesh Police. Woman officers are working in different level of police force very successfully. Woman police officers are working in different UN peace keeping missions. 

Through her honest & sincere effort Shahara Khatun wants tocreate a new dimension in policing in Bangladesh.